গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিয়নে একটি 'হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক' ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের প্রতিরোধ বাহিনী। ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে যে তারা সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করেছে।
হুতির দাবি ও ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র
হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, হামলায় ‘প্যালেস্টাইন-২’ নামের একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এটি মূলত গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলার জবাবে করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আইডিএফের পাল্টা দাবি
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) তাদের অফিসিয়াল এক্স (পূর্বের টুইটার) অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এই হামলার ঘটনা নিশ্চিত করে। তবে তারা দাবি করে, ইয়েমেন থেকে আসা ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। আইডিএফের মতে, এই হামলায় কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
হামলায় আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে এই ধরনের হামলার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ হুথিদের এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে এবং এটিকে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ানোর একটি চেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছে। অন্যদিকে, ইরান এবং তার মিত্র কিছু দেশ হুথিদের এই পদক্ষেপকে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন হিসেবে দেখছে।
এই ধরনের হামলার ইতিহাস
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা এর আগেও ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে হুথিরা লোহিত সাগর ও সংলগ্ন অঞ্চলে ইসরায়েলের জাহাজ এবং বাণিজ্যিক নৌপথকে লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালিয়েছে। তবে বেন গুরিয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা একটি নতুন এবং গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের গুরুত্ব: এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের গতির চেয়ে অনেক দ্রুত চলতে পারে এবং তা সনাক্ত করা ও প্রতিরোধ করা সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক কঠিন। এই হামলা যদি সফল হতো, তবে তা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হতো।
0 মন্তব্যসমূহ