Header Ads

Ad

ছাব্বির নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১২, পুরুষশূন্য ৪ গ্রাম

 



হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড এলাকায় টমটম ও সিএনজি ভাড়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের তুমুল সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ছাব্বির মিয়ার দাফন বুধবার সম্পন্ন হয়েছে। বিকাল সাড়ে ৫টায় তার জানাজা রাধাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।


এদিকে এখনও এই খুনের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ উভয় গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে আটক করেছে। ফলে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে কাকুড়া, করিমপুর, রাধাপুর, জামারগাঁও।


আটককৃতরা হলেন রাজাপুর গ্রামের খাতাব মিয়ার ছেলে নওসাদ মিয়া, রহিম বক্সের ছেলে নাহিদ, আব্দুর রশীদের ছেলে সুমন আলী শিকদার, আব্দুল হক, ফাদুল্লা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মোহন, কামাল উদ্দিনের ছেলে মিরাশ উদ্দিন, খোরশেদ মিয়ার ছেলে ফরিদ মিয়া, রহিম উল্লার ছেলে খয়র উল্লাহ, আরজু মিয়ার ছেলে অলু মিয়া, জামারগাঁও গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে সোহেল মথুরাপুর গ্রামের আলকাছ মিয়ার ছেলে উজ্জল মিয়া, রাধাপুর গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে সেলো মিয়া। পুলিশ আটককৃতদের মঙ্গলবার সকালে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।


বুধবার দুপুরে নিহত ছাব্বির মিয়ার লাশ সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। বিকালে তার লাশ গ্রামের বাড়ি রাধাপুর পৌঁছলে স্বজনদের কান্নায় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।


উল্লেখ্য, নবীগঞ্জ উপজেলার বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড এলাকার দীঘলবাক ইউনিয়নের জামারগাঁও, রাধাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আফজল মিয়ার সাথে পার্শ্ববর্তী কাকুড়া করিমপুর গ্রামের টমটম চালক রাশেদ, সিএনজি চালক মোহাম্মদ আলী ও সিরাজুলের সাথে টমটম ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয় গত সোমবার রাত ১০টায়। এর জের ধরে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় রাধাপুর ও জামারগাঁও গ্রামের মানুষ মাইকিং করে প্রস্তুতি নিয়ে কাকুড়া ও করিমপুর গ্রামের কাছে এলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।


ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের ৫০ জন আহত ও ছাব্বির মিয়া নামে এক যুবক নিহত হন। এর মধ্যে ২০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে, কিন্তু এখনও কেউ মামলা দেয়নি। সংঘর্ষে জড়িতদের মধ্যে অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকায় পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Bottom Page Ads