মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক এসআই নাছির উদ্দিন জানান, ‘মসজিদে শিবিরের প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। পরে রাতে মোশাররফ আলী বাজার এলাকায় উভয়পক্ষ পুনরায় জড়ো হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ সময় পুলিশ পালানো বা পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার খবর সঠিক নয় বলেও তিনি জানান’।
বাহারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব এবাদুল হক বলেন, ‘মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে আগে থেকেই বলা ছিল এখানে কোনো দলীয় প্রোগ্রাম হবে না। কিন্তু শিবির মসজিদে প্রোগ্রাম করে। এ সময় ছাত্রদল কর্মীরা ওইদিকে যাতায়াত করলে শিবিরের ছেলেরা তাদের গালমন্দ করে। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়।’
বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) শুধাংশু শেখর হালদার বলেন, ‘ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’
ইসলামী ছাত্রশিবির, চট্টগ্রাম জেলা পশ্চিমের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, পবিত্র কুরআন শিক্ষার জন্য আয়োজিত প্রোগ্রামে ছাত্রদল কর্মীরা প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ