Header Ads

Ad

কাতারে ইসরায়েলের হামলা ফুঁসে উঠলেন আরব নেতারা

 


মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে আগুন জ্বালাল ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের নীরব সম্মতি নিয়েই এবার কাতারে হামলা চালিয়েছে তেলআবিব। গেল জুনে একইভাবে ইরানকে টার্গেট করেছিল তারা, আর এবার আঘাত হানল সেই কাতারে— যে দেশটি এতদিন যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি রাখতে বিলাসবহুল উপহার থেকে শুরু করে বড় বড় বাণিজ্যিক বিনিয়োগ পর্যন্ত করেছে।


দোহার ওপর ইসরায়েলের এ হামলা যেন পুরো আরব বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। সৌদি আরব একে ‘নৃশংস আগ্রাসন’ আখ্যা দিয়ে কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। রিয়াদের ভাষ্য, এটি শুধু আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন নয়, জাতিসংঘের নীতির বিরুদ্ধেও স্পষ্ট অবস্থান। সৌদি সতর্ক করে বলেছে— এ হামলার ফলশ্রুতিতে আঞ্চলিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।


এ ঘটনার পর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সরাসরি ফোনে কথা বলেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে। সেখানে তিনি কাতারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। পরে তিনি জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সঙ্গেও আলাপ করেন। আলোচনায় উঠে আসে দোহার ওপর হামলা এবং কাতারের সার্বভৌমত্ব রক্ষার গুরুত্ব।


এদিকে আরব আমিরাতও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বলেছেন, এটি শুধু কাতারের ওপর হামলা নয়, বরং আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে স্পষ্ট ও কাপুরুষোচিত আঘাত।


মিসর জানিয়েছে, এ হামলার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যাবে এবং শান্তি আনার বৈশ্বিক প্রচেষ্টা দুর্বল হয়ে পড়বে। পাশাপাশি গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল ও বিশ্ব মুসলিম লিগও যৌথভাবে নিন্দা জানিয়েছে।


ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে গোটা আরব বিশ্ব যেন নতুন করে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। কাতারের প্রতি সংহতি জানিয়ে একের পর এক বার্তা আসছে আঞ্চলিক নেতাদের কাছ থেকে। ফলে, হামলার ধাক্কা শুধু দোহা নয়— পুরো মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতেই গভীর প্রভাব ফেলতে চলেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Bottom Page Ads