খুলনার এসওএস শিশু পল্লীতে নবম শ্রেণির ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু: আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু?
খুলনা: খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার এসওএস শিশু পল্লীর নবম শ্রেণির ছাত্রী ইসরাত জাহান ইশার (১৬) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) রাতে সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে জানা গেলেও, পরিবার এটিকে একটি রহস্যজনক মৃত্যু বলে দাবি করছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ঘটনার বিস্তারিত
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে ইশা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বিষয়টি এসওএস শিশু পল্লীর কয়েকজন কর্মকর্তা দেখতে পেয়ে তাকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে বুধবার দুপুরে। খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম এই মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। মৃত ছাত্রী ইশা সোনাডাঙ্গা মডেল থানার আল-আমিন মহল্লার বাসিন্দা খালেক শেখের মেয়ে।
পরিবারের অভিযোগ: "এটি রহস্যজনক মৃত্যু"
ইশার নানা জুয়েল শেখ অভিযোগ করে বলেন, "স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর না দিয়ে নিজেরাই ইশাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং পরে আমাদের জানায়।" তিনি আরও বলেন, ইশরা ১৬ মাস বয়স থেকে ১৪ বছর ধরে এসওএস শিশু পল্লীতেই ছিল। হোমের কেউ তার ব্যাপারে কোনো খারাপ কথা বলতে পারবে না।
জুয়েল শেখের অভিযোগ, ঘটনার সময় যে রশি বা ওড়না দিয়ে ইশা গলায় ফাঁস লাগিয়েছিল, তা স্কুল কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেনি। হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গেও তারা কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি। এসব কারণে তিনি দাবি করেন, এটি একটি রহস্যজনক মৃত্যু।
পুলিশের বক্তব্য
খুলনা থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম জানান, মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে যায়। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে বোঝা যাবে এটি আত্মহত্যা নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে। দুপুরের পর ময়নাতদন্ত শেষে ছাত্রীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসওএস শিশু পল্লীর পক্ষ থেকে এই ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
0 মন্তব্যসমূহ