Header Ads

Ad

টাকা ফেরত দিলেন জামায়াত নেতা - Ripon Tech Bangla

শিক্ষক নিবন্ধনে পাস করানোর নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ গাইবান্ধা জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে

শিক্ষক নিবন্ধনে পাস করানোর নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ গাইবান্ধা জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে

গাইবান্ধা: বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার নামে একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজের বিরুদ্ধে। যদিও তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সাদুল্লাপুর উপজেলার দুইজন প্রার্থী উপজেলা ও জেলা আমিরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে দলীয় নেতাদের মধ্যস্থতায় একাধিক প্রার্থীর টাকা ফেরত দেন সিরাজুল ইসলাম। বুধবার (৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে সাদুল্লাপুর জামায়াত কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে একটি বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ

দমোদরপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মাসুদ রানা অভিযোগে উল্লেখ করেন, শিক্ষক নিবন্ধনে পাস করিয়ে দেওয়ার কথা বলে সিরাজুল তার কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে তিনি ৫০ হাজার টাকা দেন। পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর টাকা ফেরত চাইলে সিরাজুল নানা অজুহাত দেখান। একইভাবে আরেক ভুক্তভোগী আব্দুল হাদী-র কাছ থেকেও ৭৫ হাজার টাকার চুক্তিতে ১৫ হাজার টাকা নেন তিনি। দলীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরে হাদী তার টাকা ফেরত পান।

অন্যদিকে, জামালপুর ইউনিয়নের পাতিল্যাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা মফিজল হক অভিযোগ করেন, গত ৮ জুলাই সন্ধ্যায় সিরাজুল ২০-২৫ জনকে নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার ছেলে তাজুল ইসলামকে অপহরণের চেষ্টা করেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় সে যাত্রায় অপহরণ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ফাঁস

সম্প্রতি এক চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে প্রায় ১৭ লাখ টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে সিরাজুলকে বৈঠকের সময় টাকা লেনদেন ও চেক নেওয়ার কথা স্বীকার করতে শোনা যায়। অভিযোগকারী জানান, কয়েক দফায় ১৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা দেওয়ার পরও সিরাজুল আরও ২ লাখ টাকা দাবি করেন।

দলীয় নেতার বক্তব্য

গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. রোকনুজ্জামান রোকন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অভিযোগ পাওয়ার পর তা দলীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে জেনেছি সিরাজুল কোনো টাকা নেননি, তিনি শুধু মধ্যস্থতা করেছেন।

অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থন

অভিযোগের বিষয়ে সিরাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি অভিযোগকারীদের কান্তনগরের জহুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছি, কোনো টাকা নিইনি। সরকারি চাকরির ঘটনাটিও আমার সেক্রেটারি হওয়ার আগের। তিনি দাবি করেন, তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Bottom Page Ads